ফ্যাসিস্ট হাসিনা চোরের মত লেজ গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় বছরখানেক হলো। পতিত এই স্বৈরাচার পালানোর পর থেকেই সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামকে বানিয়েছে রীতিমতো নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের আবাসস্থল। ওখানেই দলীয় শীর্ষ থেকে প্রান্তিক এলাকার নেতাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ আর ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ঘিরে করেন নানা ষড়যন্ত্র। এবার আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কিছু নেতা ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেই সব টেলিগ্রাম গ্রুপে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের অস্তিত্বের কথা।
তাদের দাবি অনুযায়ী এই সব টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুগত গোয়েন্দা সদস্যদের অনুপ্রবেশ এর ঘটনা ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা নাকি গ্রুপগুলোর কথোপকথন রেকর্ড করে, যা পরে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে ব্যবহার করা হয়। দলটির ভেতরের খবর অনুযায়ী, গ্রুপে আলোচনার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার শুরু হয়ে গেছে। মোট কথা হলো আওয়ামী লীগ বোঝাতে চাইছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দেশকে নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের তথ্য রয়েছে।
এদিকে আবার ১১ দিন সারাদেশে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। সে কারণেই এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ থেকেও বোঝা যায় আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের তথ্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রয়েছে।
অন্যদিকে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাবার পর থেকেই তার নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য বাহন হয়ে উঠেছে সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রাম। এই সোশ্যাল মিডিয়াটিতে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে ফ্যাসিস্ট দলটির। যে গ্রুপগুলো আবার সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন গণহত্যাকারী স্বৈরাচার ওবায়দুল কাদের।
এসব গ্রুপে প্রতিদিনই রাত ৯টার পর শুরু হয় মিটিং। যেখানে ষড়যন্ত্র করা হয় আওয়ামী লীগের ফিরে আসার প্রক্রিয়া নিয়ে। এসব এক একটা গ্রুপে একসাথে ২৫ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যুক্ত রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, জ্যেষ্ঠ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। যেসবের আবার নেতৃত্ব দেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিজে আর পিছন থেকে সব কিছু সমন্বয় করেন কাউয়া কাদের।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেলিগ্রামে হওয়া প্রতিদিনের এসব মিটিংয়ে হাসিনা আর কাউয়া কাদের মিলে দায়িত্ব ভাগ করে দেন কে কখন কোথায় কিভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে দেশকে বিশৃঙ্খল করে তুলবে। আর ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফেরানোর নয়া সব ষড়যন্ত্রের পসরা এসব এক একটা ভার্চুয়াল মিটিং।